
বিস্তারিত :
তারা তথাকথিত ফাদিয়া-১ ও ফাদিয়া-২ রকেট ছুড়েছে। গত কয়েক মাসে তারা ইসরায়েলের দিকে যেসব রকেট ছুড়েছিল তা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার সোভিয়েত রাশিয়ার তৈরি কাতিউশা রকেট।
গত মঙ্গল ও বুধবার লেবাননজুড়ে হামাস সদস্যেদের ব্যবহার করা কয়েক হাজার তারহীন যোগাযোগযন্ত্র পেজার ও ওয়াকিটকিতে একযোগে বিস্ফোরের ঘটনা ঘটে। লেবানন সরকার ও হিজবুল্লাহর দাবি, ইসরায়েল বৈদ্যুতিক বার্তার মাধ্যমে এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। দুই দিনের বিস্ফোরণে সাধারণ মানুষসহ সশস্ত্র গোষ্ঠীটির ৩৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয় প্রায় তিন হাজার।
এরপর গত শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণের শরতলিতে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩৮ জন নিহত ও কয়েক ডজন আহত হয়।
শুক্রবারের হামলায় হিজবুল্লাহর কমান্ডার ইব্রাহিম আকিলও নিহত হন। হামলার সময় বৈরুতের শহরতলির একটি ভবনে তিনি বৈঠক করছিলেন। হামলায় পুরো ভবনটি ধুলোয় মিশে যায়।
গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলে রকেট হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ। জবাবে লেবাননে গোষ্ঠীটির বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
হামলার কারণে উভয় দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল লেবানন সীমান্তবর্তী নিজেদের উত্তরাঞ্চল থেকে সরিয়ে নেওয়া নাগরিকদের এখন ফেরত আনতে চায়। এ জন্য অঞ্চলটি নিরাপদ করতে লেবাননে সম্প্রতি বিমান হামলা বাড়িয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। কিন্তু গাজা যুদ্ধ বন্ধ না করা পর্যন্ত ইসরায়েলে হামলা চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছে হিজবুল্লাহ।