এবারের জাতিসঙ্ঘ সম্মেলন যেসব কারণে বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

অস্বীকার করলে চলবে না’ এবং টানাপোড়েন দূর করার চেষ্টা করা হবে এবং একটা ওয়ার্কিং রিলেশন (কাজের সম্পর্ক) রাখার চেষ্টা করা হবে বলে জানান তৌহিদ হোসেন। তবে সম্পর্কটা মর্যাদা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে হতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

 

প্রতিবেশি যেহেতু পরিবর্তন হয় না ‘অনেক দ্বিপক্ষীয় বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে আলাপ আলোচনা হতেই হবে, ভারতেরও কোনো অপশন নেই, আমাদেরও কোনো অপশন নেই,’ উল্লেখ করেন তিনি।

 

 

পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এবং বেশ অনেক জায়গায় দুইদিকের স্বার্থের বিষয় রয়েছে, যেসব কারণেই ভারতের সাথে একটা ভালো সম্পর্কের জায়গা ধরে রাখতে আলাপ আলোচনা করতে হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষক হুমায়ূন কবির।

 

জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ

১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জাতিসঙ্ঘ গঠন করা হয়েছিল ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে। জাতিসঙ্ঘের প্রধান নীতিনির্ধারণী অংশ এই পরিষদ।

 

প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে নিউ ইয়র্কের জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে সারা বিশ্বের জাতিসঙ্ঘের সদস্য সব দেশের নেতারা বৈঠকে বসেন এবং বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গে জাতিসঙ্ঘের ১৯৩ সদস্য দেশগুলির মাঝে ভোটাভুটিও হয়।

 

যেমন এবারের অধিবেশনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ফিলিস্তিন। জাতিসঙ্ঘের পূর্ণ সদস্য না হয়েও এবারে অধিবেশনে অংশ নিয়েছে ফিলিস্তিন মিশন। এ বছর মে মাসে সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে পূর্নাঙ্গ সদস্য করতে পক্ষে ভোট দিয়েছিল ১৪৩ টি দেশ।

 

এবারের অধিবেশনে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের যুদ্ধ এবং দখলদারিত্ব বন্ধ নিয়েও ভোট হয়েছে। সেখানে ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১২৪টি দেশ পক্ষে, ১৪টি বিপক্ষে ভোট দিয়েছে, ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল ৪৩টি দেশ।

 

এই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মধ্য দিয়ে আগামী এক বছরের মধ্যে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বেআইনি দখলদারিত্ব বন্ধে প্রস্তাব পাস হয়েছে।

 

পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে বিশ্বের সার্বিক উন্নয়ন ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা জাতিসঙ্ঘের মূল লক্ষ্য। এমন উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত হয় বার্ষিক অধিবেশন।

 

এবারের অধিবেশন শুরু হয়ে গেছে ১০ই সেপ্টেম্বরে। এ অধিবেশনে সংঘাত নিরসন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য করাসহ ভবিষ্যৎ-কেন্দ্রিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

 

জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ সংস্থাটির একমাত্র শাখা যেখানে ১৯৩টি সদস্য দেশের সবাই প্রতিনিধিত্ব করার এবং সভায় বক্তব্য রাখার সুযোগ পায়। সভার বাইরে নেতাদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক সাধারণত বেশি গুরুত্ব বহন করে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *