এলাকার যোগ্য হাফেজদের খতমে তারাবীহতে  মহল্লার মসজিদে প্রাধান্য দিন। 

এইচ.এম.তামীম আহাম্মেদ ।।

ধর্মমন্ত্রনালয়ের  জরিপ অনুযায়ী দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ মসজিদ রয়েছে। পবিত্র মাহে রামাদানে এসব মসজিদগুলোর মধ্যে  প্রায় মসজিদে  খতমে তারাবীহ হয়।  রামাদান মাস আসলেই বিভিন্ন মসজিদে  নিয়োগ দেয়া হয় হাফেজে কুরআনদের।
শহরের মসজিদগুলোতে খতমে তারাবীহতে  সঠিকভাবে ইন্টারভিউ বোর্ড গঠন করে নিয়োগ দিলেও গ্রামের  প্রায় মসজিদগুলোতে চলে স্বজনপ্রীতি। তা না করেও হবে কি করে তথ্য বলছে ; অনুমান করা হয়, ২৫ লাখেরও বেশি হাফেজে কুরআন রয়েছেন বাংলাদেশে। এই সংখ্যা প্রতি বছরই উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।

এখন আসেন হিসেবে বসি ; বাংলাদেশে মসজিদের সংখ্যা ৩ লাখ, রমাদানে সবগুলো মসজিদে  খতমে তারাবীহ হয় না।  কুরআনে হাফেজের সংখ্যা ২৫ লাখের ও বেশী৷  ধরে নিন; ৩ লাখ মসজিদে ২ জন করে নিয়োগ দেয়া হলো। যোগফল দাড়ালো ৬ লাখ তার পাশে অযোগ্য মনে করে বাদ দেন আরও ৬ লাখ  । মোট সংখ্যা ১২ লাখ, বাকী রইলো আরও ১৩ লাখ।  এখন প্রশ্ন হলো ১৩ লাখ কুরআনে হাফেজ কোথায় যাবে! তাই আমার মতে আপনার এলাকার যোগ্য হাফেজদের খতমে তারাবীহতে প্রাধান্য দিন – তারা আপনাদের সম্পদ। এ সম্পদ নস্ট হতে দিয়েন না৷ কুরআনে হাফেজরা কয়েকটি কারণে কুরআন শরীফ ভুলে যায় তার মধ্যে একটি কারণ হলো খতমে তারাবীহ না পড়ানো । তাই আশা করব বিষয়টি আমলে নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় রাখবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *