
কুমিল্লায় সাম্প্রতিক বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি ও মৎস্য খাত। কৃষিতে ৮৫০ কোটি টাকার ক্ষতির প্রাথমিক তথ্য জানিয়েছে কৃষি অধিদপ্তর। আর মৎস্য খাতে প্রাথমিক সমীক্ষায় ক্ষয়ক্ষতি ধরা হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। তবে বন্যা যত দীর্ঘস্থায়ী হবে ক্ষতির পরিমাণ তত বাড়বে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও মৎস্য চাষীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) কৃষি অধিদপ্তর থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বন্যায় পুরো জেলায় ৭০ হাজার হেক্টর কিছু জমি প্লাবিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রুপা, আমন এবং সবজির ক্ষেত। তলিয়ে গেছে ধানের বীজতলা।
এদিকে মৎস্য খাতে প্রাথমিক সমীক্ষায় ক্ষয়ক্ষতি ধরা হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। তলিয়ে গেছে আড়াই হাজার পুকুর, দিঘী ও মাছের ঘের। তবে ক্ষতির পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারে বলে জানান মাছ চাষিরা।
কুমিল্লা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, বন্যা যত দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মত মৎস্য চাষীদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব মাহমুদ জানান, বন্যার ক্ষতির কারণে ধানের বীজ সংকট দেখা দিতে পারে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের যতটা সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।
কুমিল্লার উপজেলাগুলোর মধ্যে অন্তত ১৪টি উপজেলা বন্যা আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্দার, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা। এসব উপজেলার কৃষি ও মৎস্য খাতে ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি।