
এইচ.এম.তামীম আহাম্মেদ।।
একজন দ্বীনদার বোনের – আল্লাহর পথে আসার গল্প। ম্যাটস কোর্সের একাডেমিক পড়া শেষ করে – ইন্টার্ণী তে জয়েন দিয়েছি ইমার্জেন্সী ওয়ার্ডে। ছেলে এবং মেয়ে সহ ১৫ জন ডিউটি করতাম। মেয়েদের মধ্য থেকে একজনকে খুব আলাদা লাগতো কারণ তিনি এমনভাবে নিজেকে গুচিয়ে রাখতেন মনে হতো একজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। প্রথমত ভেবেই নিয়েছিলাম উনার ব্যাকরাউন্ড মাদ্রাসা – উনাকে যত দেখতাম কৌতূহল জাগতো। কিন্তু কিছু বলার সাহস পেতাম না। একদিন জিজ্ঞেস করেই বসলাম ; বোন আপনি মাদ্রাসায় পড়েছেন? তিনি বললেন ; না ভাই – বললাম; তাহলে..? বললেন; বলব। জানার আগ্রহ বাড়তে থাকে – একদিন তিনি এভাবে বলছিলেন ; আমি এমন ছিলাম না। অন্য আট/দশজন জেনারেল শিক্ষিত মানুষের মতই ছিলাম। পর্দাও ঠিকঠাক করতাম না। তবে মনে কেমন যেন এক ধরনের আবাস কাজ করত। মনে পরে যায় সেইদিনটি; ক্যালেন্ডারে তখন ২০২৪ সাল। ৪ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার আমার জন্মদিন ছিলো যোহরের নামাজ শেষে সুবাসিত ঘরের প্রতিটি কোণা। আমি মুগ্ধতার সাগরে ভাসছি। খুজতেছি কারণ কি। খুজে পেয়েছি হয়তো আল্লাহ অবদি পৌঁছেছি। তার আগে নামের মুসলমান হলেও ইবাদত খুব কমই করতাম। একটি বিস্ময়কর ঘটনায় ইসলামের প্রতি অনেকটা জুকে গিয়েছিলাম।
আল্লাহর কাছে হিদায়াতের জন্য দোয়া করতাম বেশী বেশী। তখন থেকে আমার দ্বীনের পথে আসার যাত্রা শুরু। প্রথম দিকে শুধু উপলব্ধি করতে থাকি, আমি যেভাবে চলি, আমার পরিবার যেভাবে চলে, এটা ঠিক নয়। আল্লাহর সব আদেশ মানা উচিত, নিজেকে শুধরানো উচিত। ওই সময়টা আমি জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করেছি। অনেক রকম গোনাহ থেকে যখন সরে আসতে থাকি, তখনই শুরু হয় আমার ঈমানি পরীক্ষা। ব্যক্তিগত অনেক সমস্যার কারণে আরও এমন সব জটিলতা থাকায়, দিনদিন মানসিক চাপে পাগল হয়ে যাওয়ার উপক্রম। ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিটি গুনাহ থেকে বের করছি। সকল ইবাদাতে মজা পাচ্ছি। প্রতিনিয়ত তাওবাহের সাগরে ডুবে যাচ্ছি। তারপর থেকে সকল প্রকার গুনাহ থেকে সড়িয়ে এনেছি। দ্বীলে শুধু একটাই চাওয়া, আল্লাহ অবদী পৌঁছা। আমি বিশ্বাস করি পারব “ইনশাআল্লাহ ”
উনার কথাগুলো শুনার পর থেকে নিজের ভিতরে এক ধরনের আল্লাহ পাওয়ার পিপাসা কাজ করতে থাকে। অনেক গুনাহ থেকে বেরিয়েছি সাথে সাথে। প্রতিনিয়ত গুনাহ থেকে বেঁচে থাকবার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দোয়া চাই আল্লাহ তায়ালা যেন ঐ বোনটির মতো আমাকে কবুল করেন। আমীন।