
নিজস্ব প্রতিবেদক :-
যারা বই পড়তে ভালোবাসি কম বেশ আমাদের লেখক হওয়ার সপ্ন থাকে। নানান সময় নানা পদ্ধতি অবলম্বন করে লেখক হওয়ার তীব্র সপ্ন বুকে লালন করে থাকি।
সবচেয়ে খারাপ বিষয় হচ্ছে; আমরা লেখক হতে চাই কিন্তু ভালো পাঠক হতে পারি না – আমরা যদি ভালো পাঠক না হতে পারি কখনও ভালো লেখক হওয়া সম্ভব নয়।
তাই আমাদের উচিৎ ভালো পাঠক হওয়া তবে লেখক হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে পাঠক এবং সাধারণ পাঠকের ভিন্নতা রয়েছে বহুগুণ ; একজন সাধারণ পাঠক পড়বে ইমোশনাল হবে, কান্না করবে, হাসবে, আবেগপ্রবণ হবে কিন্তু একজন লেখক পড়বে ইমোশনাল হওয়ার পর চিন্তা করবে এখানে ইমোশনাল হলাম কেন! কান্না করলাম কেন! হাসলাম কেন! যখনই এমন ইচ্ছে নিয়ে পাঠ করবে ঠিক তখনই বুঝা যাবে লেখক হওয়ার জন্য পাঠ করছেন। যদি বিপরীত হয় তাহলে আপনি সাধারণ পাঠক।
আমি বর্তমানে একজন ভালো পাঠক হওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পাশাপাশি “এমন একজন তুমি চাই” শিরোনামে একটি বই লেখার কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। যতটুকু শিখেছি পড়ার বিকল্প নেই – বই পড়ার নেশা একজন মানুষকে আদর্শ মানুষ হিসেবে তৈরী করতে পারে। হৃদয়ের মনশ্চক্ষু খুলে দেয়, জ্ঞান বৃদ্ধির প্রবণতা বাড়ায়।
আমার লেখা” এমন একজন তুমি চাই “বইয়ের কিছু লাইন,
প্রথম দেখার মিস্টি চাহুনী আর খুন করে ফেলার মত মুচকি হাসি হৃদপিণ্ডের কম্পন বাড়াবে কয়েকগুণ বেশী, চোখ পলকের দ্বিতীয় বারে তীব্র ইচ্ছার সাথে যেন বলতে পারি বড্ড বেশী ভালোবাসি।
মিস্টি রোদের হালকা বাতাসে শীতের তীব্রতা কাটিয়ে,গরমের আবাসে ভরদুপুরে। ডায়েরীর সাথে কলমের কথোপকথনে প্রচন্ড ইচ্ছের সাথে বলতে চাই “এমন একজন তুমি চাই”
রাতের মধ্য প্রহরে, মিষ্টি কন্ঠের কোমল ছোয়ায় তাহাজ্জুদের তাগিদে বলবে,চলো রবের সাথে কথা বলি।
ফজর শেষে তোমার মনজুড়ালো কন্ঠে সূরা ইয়াছিনের আওয়াজে মুখরিত ঘরের এক কার্ণিশে বসে মুগ্ধতার সাগরে হারিয়ে যাবো বার বার, নতুন আঙ্গিনে, নতুন রুপে, নতুনভাবে ভঙ্গি খুজবো ভালোবাসার।
- পরিশেষে এটাই বলব ; ভালো লেখক হতে হলে অবশ্যই ভালো পাঠক হতে হবে।