মধ্যরাতে রাজধানীতে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট।

চৌকি বসিয়ে চলছে সেনাবাহিনীর তল্লাশি

 

চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলা, সড়কে বিশৃঙ্খলা ও অপরাধ দমনে মাঝরাতে রাজধানীর সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী। অভিযানে সন্দেহভাজন যানবাহন থামিয়ে অস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও গাড়ির কাগজপত্র তল্লাশি করা হচ্ছে। এমনকি সন্দেভাজন ব্যক্তিদের পরিচয়ও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অভিযানে আইন অমান্যকারী মোটরসাইকেল ও যানবাহনগুলোকে জরিমানার পাশাপাশি মামলা দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হচ্ছে।

 

রবিবার (২২ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেটে এমন চিত্র দেখা যায়। রাত ১২টার থেকে সেনাবাহিনীর তেজগাঁও অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের মেজর সাখাওয়াতের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ ও তেজগাঁও থানা পুলিশও রয়েছে।

 

 

অভিযান সূত্রে জানা যায়, চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর চলমান অভিযান চলছে। দিনের পাশাপাশি প্রতিদিন রাত ১১ থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল, কালো গ্লাস-ওয়ালা গাড়ি ও সন্দেহবাজন যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। বৈধ কাগজপত্র না থাকা ও অবৈধ কোনো কিছু পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযানে যেসব মোটরসাইকেল আরোহীর হেলমেট নেই, ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই তাদের সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দেওয়া হচ্ছে।

 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট দুর্জয় হাসান অপু বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে সন্দেহভাজন যানবাহন ও হেলমেট-বিহীন মোটরসাইকেল থামানো হচ্ছে। যাদের লাইসেন্স নাই এবং হেলমেট ব্যবহার করছেন না; তাদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে জরিমানা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২৭টি মোটরসাইকেলে মামলা দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগই হেলমেট না থাকার কারনে

 

ফার্মগেটে তল্লাশিতে পড়েছেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত হাসিব। কথা হয় এই যুবকের সঙ্গে। তিনি বলেন, মাঝরাতের এ অভিযানকে আমি স্বাগতম জানাই। এটা দরকার আছে। আমরা আইন মানা ভুলে গেছি। আমরা এখন দিনেই হেলমেট পরি না। আর আগে রাতে কোনো গাড়ি চেক হতো না। তাই সবাই ইচ্ছে মতো আইন লঙ্ঘন করতো।

 

এক শিক্ষার্থী আজিজুল হাকিম তুশার বলেন, আমি নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ থেকে পড়াশোনা পাশাপাশি বাবার সঙ্গে টাইলসের ব্যবসা করি। আমরা বন্ধুরা রাতে বেলাই বের হই। আমাদের হেলমেটের কারণে ধরেছে। আবার সঙ্গে গাড়ির কাগজপত্রও ছিল না। পরে বাসা থেকে গাড়ির পেপার আনার পর ছেড়ে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *