কেমন উপাচার্য চায় কুবি শিক্ষার্থীরা?

দুর্নীতি নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের পদত্যাগের পর নতুন কোনো উপাচার্য নিয়োগ হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে চলতি মাসেই নিয়োগ হবে নতুন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেমন উপাচার্য চান এবং তাদের প্রত্যাশা কী?- এ নিয়ে দৈনিক নয়া শতাব্দীর পক্ষ থেকে কথা বলা হয় বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাথে।

 

শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা:

কুবি শিক্ষার্থীরা নতুন উপাচার্যের কাছ থেকে স্বচ্ছ ও সুশাসন ভিত্তিক নেতৃত্ব আশা করেন। শিক্ষার্থীদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে সকল ধরনের দুর্নীতি ও অসদাচরণ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রশাসনিক ভাবে দক্ষ এবং সকল আইনকানুন মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন করবে।

 

শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ:

গত এক যুগের বেশি সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতির কারণে সেশনজট, মারামারি ও শিক্ষার্থী হেনস্তা সহ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাই দলীয় রাজনীতি মুক্ত একজন উপাচার্য চায় শিক্ষার্থীরা যিনি সব কিছুর ঊর্ধ্বে সমস্যা গুলোর যৌক্তিক সমাধান করবেন। পাশাপাশি সকল রাজনীতি বন্ধ করবেন।

 

একজন উদার ও দক্ষ প্রশাসক:

শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, নতুন উপাচার্য উদার ও মানবিক হবেন, যিনি শিক্ষার্থীদের জন্য বন্ধুসুলভ পরিবেশ তৈরি করবেন। একজন দক্ষ প্রশাসক হিসেবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দেবেন এবং উদ্বুদ্ধ সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 

মুক্তচিন্তা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সমর্থক:

শিক্ষার্থীরা প্রত্যাশা করছেন, নতুন উপাচার্য মুক্তচিন্তা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। শিক্ষার্থীরা যাতে স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন, সেই পরিবেশ সৃষ্টি করবেন এবং যেকোনো ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন।

 

গবেষণা ও শিক্ষার মান উন্নয়ন:

শুধু মুখে গবেষণার কথা না বলে বাস্তবিক ভাবে গবেষণায় মনোযোগ দিবেন এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। তারা আশা করছেন, নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও পরিচিতি পাবে এবং শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের শিক্ষা ও সুযোগ সুবিধা পাবেন।

 

সর্বোপরি শিক্ষার্থীরা এমন একজন উপাচার্য প্রত্যাশা করেন, যিনি দুর্নীতিমুক্ত, সুশাসনের পক্ষে এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যা ও চাহিদার প্রতি সংবেদনশীল হবেন। তারা বিশ্বাস করেন, যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়টি তার আসল লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *